বাংলাদেশের অনেক মোচালো বৈজ্ঞানিক-দার্শনিকদের মোচের সাইজ দেখে হুজুরদের গা শিরশির করে। আসলে আমাদের এত অল্পতেই এত অসহনশীল হলে হবে না। আমাদের জেনে রাখতে হবে যে, মুক্তচিন্তার অভয়ারণ্য জার্মানিতে অনেককাল আগে থেকেই মোচের চাষাবাদ করে বাম্পার ফলন পাওয়া যাচ্ছে।

ছবিতে উপরে বামে আছেন জার্মান সাম্রাজ্যের সর্বশেষ কাইযার উইলহেলম দ্য সেকেন্ড। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হেরে নেদারল্যান্ডে নির্বাসনে যাবার পর অবশ্য তিনি দাড়ি রাখেন এবং মোচগুলো খানিকটা নেতিয়ে পড়ে।
উপরে ডানে আছেন দার্শনিক নিটশে। খ্রিষ্টান বিশ্বে এনলাইটেনমেন্টের পর ধর্মীয় প্রভাব কমে আসতে দেখে তিনি বলেন, "গড ইজ ডেড।" দুষ্ট লোকেরা তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনীকে দুই লাইনে এভাবে লিখে-
{"গড ইজ ডেড।" - নিটশে, ১৮৮৩
"নিটশে ইজ ডেড।" - গড, ১৯০০}
নিচে ডানে আছেন আফিম বিক্রেতা মার্ক্স। জনতাকে নেশাগ্রস্ত করতে তিনি কমিউনিজম নামক আফিম আবিষ্কার করেন। সোভিয়েত ইউনিয়নে দীর্ঘদিন সাফল্যের সাথে মাতলামি চলে। আজও বাংলার দেয়ালে দেয়ালে চিকা মেরে বিপ্লব জারি রেখেছে আফিমখোরেরা।
নিচে বামে আছেন আফিম ব্যবসায় মার্ক্সের পার্টনার এঙ্গেলস। এছাড়া তিনি তাঁর পার্টনারের টাকা পয়সার দিকটাও খেয়াল রাখেন।
তাহলে এখন বলুন এঁদের মাঝে কার ঝাড়ু...থুক্কু...মোচ দেখে আপনাদের সবচেয়ে বেশি গা শিরশির করছে।